রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরে সব ধরণের সবজির দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম দিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ব্যবধানে কাঁচা মরিচ দুইশো বিশ টাকা থেকে হয়েছে পাঁচশো টাকা।
ভোক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথার্থ বাজার মনিটরিং না থাকায় সবজি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়া দামে সবজি বিক্রি করছেন। তবে সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন চড়া দামে ক্রয় করার কারণে চড়া দামে বিক্র করছেন।
শুক্রবার(১১অক্টোবর) সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আরামনগর বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, মরিচ ৫০০,ফুলকপি ১৯০,বেগুন ১২০,করলা ৯০, পটল ৮০,ঢেড়শ ৯০,পেঁপে ৩০,রসুন ২২০ ও আদা ১৬০,দেশি শসা ১২০,পেঁয়াজ ১১০, মিষ্টি কুমড়া ৮০/৯০ টাকা,ধুন্দল ৮০,ঝিঙে ৮০,কঁচুমুখী ৭০,বাঁধাকপি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আরামনগর বাজারের এক ক্রেতা সামিউল আলম বলেন, গত তিন দিন আগে বেগুন কিনেছি ৫০ টাকা কেজি আজ ১২০ টাকা কেজি। কাঁচামরিচ এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ টাকা কেজি এখন ৫০০ টাকা কেজি। তাই বাজার না করে দুই কেজি পেঁপে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। তিনি সরকারের কাছে বাজার নিয়ন্ত্রণের জোর দাবি জানান।
আরামনগর বাজারের খুচরা বিক্রেতা মুন্না বলেন,বাজারে সবজির চাহিদা বেশি কিন্তু আমদানি কম থাকায় সবজির দাম বেশি। আমাদের আগের চেয়ে দিগুণ দামে কিনতে হয় তাই দিগুণ দামে বিক্রি করছি। এক সপ্তাহ আগে বেগুন কিনেছি ৪০/৪৫ কেজি এখন কিনতে হয়
১১০/১১৫ কেজি। তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি। কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের জরিমানাও করছি।
বন্যায় বেগুন চাষে ক্ষতি হওয়ায় বেগুনের দাম একটু বেশি। তবে ১২০ টাকা হওয়ার কথা না। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে জানান।