ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেওয়ানগঞ্জে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ভোরের দিগন্ত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০১:২০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ১০৮ বার পঠিত

ফারুক মিয়া,জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে  মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার পহেলা জুলাই উপজেলার কলাকান্দা উক্ত স্কুল মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বিকেলে।

জানা যায়, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দায় অবস্থিত ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে নানা ভাবে চেষ্টা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকবৃন্দকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘কালবেলা’ নামের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রেজে ‘দুই সতিনের আয়নাবাজি’ শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হয় এবং জাতীয় দৈনিক ‘আজকের পত্রিকা’য় ‘প্রধান শিক্ষক ঢাকায় প্রক্সি দেন সতিন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামিউল আলম ছামু মিয়া কারসাজি করে তার প্রথম স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেন। লাভলী বেগম ঢাকায় স্থায়ী বসবাস করেন। তার পরিবর্তে ছামু দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা বেগম বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লাভলী বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বেতন ভাতা তুলছেন এবং ভোগ করছেন। প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম বিদ্যালয়ে আসেন না বা মাঝে মাঝে আসেন। তার পরিবর্তে প্রক্সি দেন তার সতিন মুসলিমা বেগম। ঘটনাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

সম্মেলনে বক্তরা বলেন, ছামু মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম ঢাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন না। তিনি মাঝে মাঝে ঢাকায় যান। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বন্ধের সময় প্রধান শিক্ষিকা লাভলী বেগম শুক্র ও শনিবার ঢাকায় অবস্থান করতেন। সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন সে তার কর্মস্থল ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। লাভলী বেগমের পরিবর্তে কেউ প্রক্সি দেন না। লাভলী বেগম হাজিরা খাতায় নিজের স্বাক্ষর নিজে দেন এবং নিজে তার বেতনভাতা ভোগ করে আসছেন। তিনি নিয়মিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে মুসলিমা বেগম পাশাপাশি অবস্থিত বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ভিডিওতে সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় মুসলিমা বেগম বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বলেন ‘আমি এই বিদ্যালয়ে শুরু থেকে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি।’ তিনি ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের কথা বলেননি। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে লাভলী বেগমকে চিনেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পত্র পাঠ করেন ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সামিউল আলম ছামু মিয়া। বক্ত রাখেন প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা বেগম।

ট্যাগস :

দেওয়ানগঞ্জে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০১:২০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

ফারুক মিয়া,জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে  মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার পহেলা জুলাই উপজেলার কলাকান্দা উক্ত স্কুল মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বিকেলে।

জানা যায়, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দায় অবস্থিত ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে নানা ভাবে চেষ্টা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকবৃন্দকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘কালবেলা’ নামের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রেজে ‘দুই সতিনের আয়নাবাজি’ শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হয় এবং জাতীয় দৈনিক ‘আজকের পত্রিকা’য় ‘প্রধান শিক্ষক ঢাকায় প্রক্সি দেন সতিন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামিউল আলম ছামু মিয়া কারসাজি করে তার প্রথম স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেন। লাভলী বেগম ঢাকায় স্থায়ী বসবাস করেন। তার পরিবর্তে ছামু দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা বেগম বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লাভলী বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বেতন ভাতা তুলছেন এবং ভোগ করছেন। প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম বিদ্যালয়ে আসেন না বা মাঝে মাঝে আসেন। তার পরিবর্তে প্রক্সি দেন তার সতিন মুসলিমা বেগম। ঘটনাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

সম্মেলনে বক্তরা বলেন, ছামু মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম ঢাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন না। তিনি মাঝে মাঝে ঢাকায় যান। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বন্ধের সময় প্রধান শিক্ষিকা লাভলী বেগম শুক্র ও শনিবার ঢাকায় অবস্থান করতেন। সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন সে তার কর্মস্থল ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। লাভলী বেগমের পরিবর্তে কেউ প্রক্সি দেন না। লাভলী বেগম হাজিরা খাতায় নিজের স্বাক্ষর নিজে দেন এবং নিজে তার বেতনভাতা ভোগ করে আসছেন। তিনি নিয়মিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে মুসলিমা বেগম পাশাপাশি অবস্থিত বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ভিডিওতে সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় মুসলিমা বেগম বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বলেন ‘আমি এই বিদ্যালয়ে শুরু থেকে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি।’ তিনি ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের কথা বলেননি। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে লাভলী বেগমকে চিনেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পত্র পাঠ করেন ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সামিউল আলম ছামু মিয়া। বক্ত রাখেন প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা বেগম।