ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বকেয়া বিল লাইন কাটতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বেঁধে রাখলেন

ভোরের দিগন্ত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১০:১১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ৩৫ বার পঠিত

রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুই বছরের বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাটতে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২১জুন) সকাল থেকে এই ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০জুন) উপজেলা পরিষদ চত্তরে ইউএনওর আবাসিক কোয়াটার সংলগ্ন আনসার ব্যারাকে এ ঘটনা ঘটে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বারান্দার লোহার পাইপের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীকে বেঁধে রেখেছে এবং পাশেই আরেক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী বসে রয়েছেন। এ সময় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে ভিডিও করছেন। ওই ভিডিওতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বলতে শোনা যায় আমি সরকারি কাজ করতে এসেছি, আমি কি সরকারি লোক না? আমাকে এভাবে চোরের মতো বেঁধে রাখতে পারে না। পাশ থেকে আরেক লোক বলতে থাকেন, আপনাকে বলার পর লাইন কেটেছেন কেন? এ সময় আরও শোনা যায় ইউএনও’র নির্দেশে আপনাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুৎতের লাইন টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেন জানান, বিগত দুই বছর ধরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কোয়াটারের বেলী-১, হাসনাহেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের পল্লী বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার (২০জুন) পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম শেখ ফরিদের নির্দেশে লাইন টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেন ও লাইন টু লেবেল-১ শাহজামাল ইয়াছিন নামের দুই কর্মচারী বকেয়া বিলের জন্যে উপজেলা চত্ত্বরে যান। সেখানে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেন দেন। নির্দেশ পেয়ে ব্যারাকের কর্তব্যরত আনসারদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানালে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসানকে ফোনে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর নির্দেশে আনসারগণ ইকবাল হোসেনকের ব্যারাকের বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন।

তিনি আরো বলেন, উর্দ্ধতনের নির্দেশে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। অথচ ইউএনও স্যার ব্যারাকের আনসারদের নির্দেশ দেন আমাদের বেধে রাখতে।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াহিয়া সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি উভয় পক্ষের মাঝে মীমাংসা হয়ে গেছে। এছাড়া আর বেশি কিছু বলতে চাই না।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্সের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

ট্যাগস :

বকেয়া বিল লাইন কাটতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বেঁধে রাখলেন

আপডেট সময় : ১০:১১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুই বছরের বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাটতে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২১জুন) সকাল থেকে এই ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০জুন) উপজেলা পরিষদ চত্তরে ইউএনওর আবাসিক কোয়াটার সংলগ্ন আনসার ব্যারাকে এ ঘটনা ঘটে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বারান্দার লোহার পাইপের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীকে বেঁধে রেখেছে এবং পাশেই আরেক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী বসে রয়েছেন। এ সময় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে ভিডিও করছেন। ওই ভিডিওতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বলতে শোনা যায় আমি সরকারি কাজ করতে এসেছি, আমি কি সরকারি লোক না? আমাকে এভাবে চোরের মতো বেঁধে রাখতে পারে না। পাশ থেকে আরেক লোক বলতে থাকেন, আপনাকে বলার পর লাইন কেটেছেন কেন? এ সময় আরও শোনা যায় ইউএনও’র নির্দেশে আপনাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুৎতের লাইন টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেন জানান, বিগত দুই বছর ধরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কোয়াটারের বেলী-১, হাসনাহেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের পল্লী বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার (২০জুন) পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম শেখ ফরিদের নির্দেশে লাইন টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেন ও লাইন টু লেবেল-১ শাহজামাল ইয়াছিন নামের দুই কর্মচারী বকেয়া বিলের জন্যে উপজেলা চত্ত্বরে যান। সেখানে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেন দেন। নির্দেশ পেয়ে ব্যারাকের কর্তব্যরত আনসারদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানালে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসানকে ফোনে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর নির্দেশে আনসারগণ ইকবাল হোসেনকের ব্যারাকের বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন।

তিনি আরো বলেন, উর্দ্ধতনের নির্দেশে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। অথচ ইউএনও স্যার ব্যারাকের আনসারদের নির্দেশ দেন আমাদের বেধে রাখতে।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াহিয়া সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি উভয় পক্ষের মাঝে মীমাংসা হয়ে গেছে। এছাড়া আর বেশি কিছু বলতে চাই না।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্সের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।